আজ সোমবার, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাসেমী যখন বিজয় স্তম্ভে ,তখন কর্মীর জুতায় পিষ্ট শ্রদ্ধাঞ্জলি!

কাসেমী যখন বিজয় স্তম্ভে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শোডাউন করে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর বাংলার বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেও দেশপ্রেমিক এক কর্মীর কান্ডে সমালোচনার মুখে পড়তে হলো আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশ জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে।

দেশ স্বাধীনের পর বিগত সময়ে স্বাধীনতা বা বিজয় দিবসে জমিয়তে উলামায়ের নেতৃবৃন্দদের কখনো শহীদ মিনার বা বিজয় স্তম্ভে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করতে দেখা না গেলেও এবার নির্বাচনের কারনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করাটা যেন তাদের দায়বদ্ধতায় ফেলে দিয়েছিল।

তাই তো জাতীয় পতাকা হাতে, ব্যানার, ফুল নিয়ে বিজয় র‌্যালী করতে করতে এবার এমপি প্রার্থী আলোচিত কাসেমীর নেতৃত্বে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) ৪৭ তম মহান বিজয় দিবসের সকালে নগরীর চাষাড়াস্থ বিজয় স্তম্ভে জেলা প্রশাসন আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ ও শহীদদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সেখানেই দাঁড়িয়ে দোয়া মোনাজাত ধরেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

আর তিনি যখন শহীদদের স্মরণে দোয়া ধরেছিলেন তখন বিজয় স্তম্ভের বেদীতে অন্যদের জানানো শ্রদ্ধাঞ্জলী জুতায় পাড়িয়ে পিষ্ট করছিলেন জাতীয় পতাকা বহনকারী তাঁরই এক দেশপ্রেমিক কর্মী!

যা দেখে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই মন্তব্য করেন, স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের শক্তি হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় দায়বদ্ধতার কারনেই যে বাধ্য হয়ে নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ^াসী হিসেবে জাহির করতে মুফতি কাসেমী বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করতে এসেছিলেন সেটা তাঁরই এক দেশপ্রেমিক কর্মীর এহেন কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হয়ে গেছে। কারন, সত্যিকার অর্থেই যদি কাসেমী স্বাধীনতার স্বপক্ষে শক্তি হতেন তাহলে বিজয় স্তম্ভের বেদীতে কখনো জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তাঁর কর্মীরা প্রবেশ করে অন্যের প্রদত্ত শ্রদ্ধাঞ্জলীর উপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করতে পারেতন না।

জানাগেছে, বিগত সময়ে জাতীয় কোন দিবসেই জমিয়তে উলামায়ে জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বা তারপক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করতে দেখা যায়নি।

তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে দলীয় প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিএনপি তাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ের বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ও উক্ত আসনের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষের কাছে অপরিচিত ব্যাক্তি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে মনোনয়ন দেয়ায় স্থানীয় বিএনপিতেই তাঁকে নিয়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

আর উক্ত আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী এমপি শামীম ওসমান কাসেমীকে স্বাধীনতা বিরোধী ও জঙ্গি প্রার্থী হিসেবে আখ্যায়িত করে নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর জন্য জঙ্গিদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করায় সর্বত্র সমালোচিত হন অচেনা কাসেমী।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ